জোর যার মূলুক তার l বিজেপির বলে বলিয়ান হয়ে ঠিক এমনিভাবেই নিজের অন্নদাতা কে ঠকিয়ে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি লুটে নিল এক কর্মচারী।

prasenjit
3 Min Read

কথিত আছে, জোর যার মূলুক তার l বিজেপির বলে বলিয়ান হয়ে ঠিক এমনিভাবেই নিজের অন্নদাতা কে ঠকিয়ে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি লুটে নিল এক কর্মচারী। কর্মচারী সেজে কয়েক বছর কাজ করার সুবাদে তিন কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়ে নিল এক সুশীল সাহা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজ্যের বটতলা স্থিত গৌড় সার্জিক্যাল জিনিসপত্রের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ নেয় জয়নগর বিদ্যাসাগরের বাসিন্দা সুশীল সাহা নামে জনৈক ব্যক্তি। কিন্ত মালিকের বিশ্বস্ততার সুযোগ নিয়ে সমস্ত সরকারি অর্ডার থেকে পাওয়া টাকা লুটে নেয় সে। বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে হাসিমুখের পিছনে মালিক কে লুটে নেওয়ার এই ফন্দি। একটা সময় দোকানের মালিক কিছুটা সন্দেহ প্রবণ হয়ে সরকারি অফিসে খোঁজ নেন। খোঁজ নিয়ে তার চক্ষু চরক গাছ হয়ে যায়। তিনি বুঝতে পারেন কয়েক বছরে তার কর্মচারী তার থেকে কয়েক কোটি টাকা অনৈতিকভাবে নিজের পকেটে পুড়েছে। সাথে সাথেই পশ্চিম থানার দারস্ত হন মালিক অতুল বাবু। ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা মেরে রাঘব বোয়াল হয়ে গেছে সুশীল সাহা । আগরতলা শহরের উপকণ্ঠে তিনটি জায়গা কিনেছে। পিঠ বাঁচাতে নিজের সবজি ব্যবসায়ী ভাইয়ের নামে বেনামী সম্পত্তি ক্রয় করেছে সে। আরেক ভাইকে অফিস লেনে দোকান কিনে দিয়েছে। জয়নগর এর কাছে খুলেছে ওষুধের দোকান। দুদিন পরপর নিজের সর্দি কাশি হলেও কলকাতা গিয়ে ডাক্তার দেখায় এই চোর। চুরির টাকায় বহি রাজ্যে চিকিৎসা করাচ্ছে নিজের মার। নিজে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেও ওষুধের দোকান খুলেছে সে। অবশ্যই লাইসেন্স বিহীন ওষুধের দোকান। খবর এও আছে যে ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে মৌখিক লাইসেন্স পেয়েছে সে। তাই এখন বিনা লাইসেন্সে বুক ফুলিয়ে চালাচ্ছে ওষুধের দোকান। এত টাকা চুরির খবর পেয়ে পশ্চিম থানার দ্বারস্থ হলে সুশিলের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয় নির্দিষ্ট মামলা। কিন্তু খবর রয়েছে মামলা দাখিল হলেও ঘুষ দিয়ে বহাল তবিয়তে আছে সুশীল। মোটা টাকা পেয়ে মামলা হালকা করে নিচ্ছে পশ্চিম থানার পুলিশ। তবে থেমে থাকবেন না মামলাকারী অতুলবাবু। তিনি ইতিমধ্যেই তার আইনজীবীর মাধ্যমে ইডি এবং সিবিআই এর কাছে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। বেনামে নিজের নামে এত অল্প সময়ে কিভাবে তিন কোটি টাকা রোজগার করল এবং দোকানের সাধারণ কর্মচারী থেকে কি করে এক হোলসেল ওষুধের দোকানে মালিক হয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই l পাশাপাশি ইডি ভোটের পরেই রাজ্যে এসে তাকে তুলে নিতে পারে l সিবিআই এবং ইডি রাজ্যবাসীর মনে আছে এর আগে এনআইএ রাজ্যে এসে চব্বিশ জন যুবককে তুলে নিয়েছিল।