অত্যধিক গরম আর তাপপ্রবাহে নাজেহাল গোটা দেশ। অবশেষে মিলেছে স্বস্তি। কালবৈশাখী আর নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে স্বস্তি পেয়েছে একাধিক রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে গ্রীষ্মের খেল দেখানো এখনও বাকি। মে মাসেও ভয়ংকর লু এবং তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে দিল্লির মৌসম ভবনের। সাধারণত জুনের গোড়া থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে বর্ষার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। ১০০ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত বর্ষা থাকে ভারতে। জুনের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা শুরু হয় ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। গত কয়েক বছরে মে মাসের শেষেই বর্ষার আগমন ঘটছে। জুনের গোড়া থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কখনও কখনও অতিভারী বৃষ্টির কারণে দেশের কোনও কোনও অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এছাড়া কিছু কিছু রাজ্যে বর্ষার জল সঞ্চয় প্রণালীর মাধ্যমে জল সংরক্ষণ করা হয়। এপ্রিলের শুরু থেকেই নাভিশ্বাস উঠছে দেশবাসীর। জ্বালাপোড়া গরম, তীব্র দহন এবং ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় প্রাণ ওষ্ঠাগত ছিল দেশবাসীর। মে মাসেও এই পরিস্থিতি থেকে খুব একটা রেহাই মিলবে না বলে খবর। চলতি বছর দক্ষিণ পশ্চিম বর্ষা নিয়ে পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। IMD-র বক্তব্য, কমে যাবে এল নিনোর দাপট। বদলে তৈরি হবে লা নিনা পরিস্থিতি। এর জেরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও বাড়বে।