দেশের আইন পরিষেবার একি অবস্থা। বন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই আর্জি। তাও আবার সেশনস কোর্ট, হাইকোর্টে ব্যর্থ হয়ে শেষ ভরসা হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু কী আশ্চর্য, সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ এক বেঞ্চ থেকে একের পর এক জামিন-আর্জি ফিরিয়ে নিচ্ছেন বন্দি রাজনীতিক বা সমাজকর্মীরা। গত কয়েক মাসে এই প্রবণতায় যুগপৎ বিস্ময় ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে আইনি মহলে।যে মামলাগুলিতে বন্দি অবস্থায় জামিন-আর্জি জানানো হয়েছিল, সেগুলি সবই রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকতার। বিতর্কিত ইউএপিএ বা পিএমএলএ-র ধারায় বন্দি মামলাকারীরা। অনেকেই বছরের পর বছর বিচারাধীন বন্দি থাকতে থাকতে বিধ্বস্ত অবস্থায় শীর্ষ আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। এই বন্দিদের প্রায় প্রত্যেকেরই বক্তব্য ছিল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাজানো মামলায় তাঁদের জেল খাটানো হচ্ছে। বিচার শুরুরও নামগন্ধ নেই। এই অবস্থায় জীবনের অধিকার ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার যে রক্ষাকবচ সংবিধান দিয়েছে নাগরিককে, জামিন মঞ্জুর করে তাঁদের সেই অধিকার নিশ্চিত করুক শীর্ষ আদালত।