কেজরীর মুক্তিতে বাজি ফাটিয়ে আনন্দ! এফআইআর দায়ের করল শাহের পুলিশ
দিন কয়েক আগেই বায়ুদূষণ কমাতে দিল্লিতে আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছিলেন পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। শুধু আতশবাজি ফাটানো নয়, তা উৎপাদন, মজুত এবং বিক্রির ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার।

অবশেষে জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সিবিআই-এর দায়ের করা দিল্লির আবগারি নীতি ‘কেলেঙ্কারি’ মামলায় শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। গত ৫ই সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেছিলেন কেজরীবাল। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, অরবিন্দ কেজরিবালের গ্রেফতারিকে বৈধ বলেই মানল সুপ্রিম কোর্ট। যেহেতু, এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, তাই আপ প্রধানের জামিন মঞ্জুর করল আদালত। কেজরীবাল জামিনে জেলের বাইরে এলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আশঙ্কাকে গুরুত্বই দিল না সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ই আগস্ট সিবিআই-এর দায়ের করা এই মামলায়, মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিবাল। ইডির হেফাজতে থাকাকালীনই, ২৬ জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর আগে, ১২ জুলাই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে, ইডি যে মামলা দায়ের করেছিল, সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন কেজরীবাল। গত ২১ মার্চ, লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বাসভবন থেকেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন সিবিআই-এর মামলাতেও জামিন পাওয়ায় ছয় মাস পর অবশেষে জেল থেকে বের হন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল।