অবশেষে বাড়ির পথে পর্যটকরা! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিকিমে ১২৩৭ জনকে উদ্ধার
আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪* নিউজ সুবার্তা ডেস্কঃ
অবশেষে মিলল স্বস্তি। আবহাওয়ার খানিকটা উন্নতি হতেই উত্তর সিকিমে আটকে থাকা বেশিরভাগ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সিকিম প্রশাসন। সিকিমে আটকে থাকা ১২০০-র বেশি পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবারের মধ্য়ে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব টানা সাতদিন আটকে থাকার পর অবশেষে রেহাই। বাড়ির পথে রওনা দিলেন সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকরা। সোমবার থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১২৩৭ পর্যটককে টুং-নাগা-মংগন সড়ক পথে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাচুংয়ে আটকে থাকা ১১৭৮ জন পর্যটককেই মঙ্গলবার বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। সোমবার আবহাওয়রা সামান্য উন্নতি হওয়ায় ৬৫ জন পর্যটককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ লাচুং ও আশপাশের এলাকা থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হয়। লাচুং থেকে চুংথাংয়ের পথে রওয়া হয়েছেন ১০০-২০০ পর্যটক। এখনওল লাচুংয়ে আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। বুধবার আবহওয়া ঠিক থাকলে তাঁদের উদ্ধার করা যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে BRO, NDRF, SFRF ও স্থানীয়রা। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই আকাশপথে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাগডোগরায় ছয়টি MI হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে। যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা সজাগ ও প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। সিকিমে আগামী কয়েক দিন দুর্যোগের ঘনঘটা চলবে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহওয়া দফতর। বিগত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম। নাজেহাল পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ। তবে সোমবার থেকে কিছুটা আবহওয়ার উন্নতি হতে শুরু করে। আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হতেই দেরি না করে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সিকিম প্রশাসন। তবে বৃষ্টি পুরোপুরি না থামায় একাধিক জায়গায় নতুন করে ধসে নামে। সেই কারণে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয় উদ্ধার অভিযান। গত কয়েক দিনে লাচুং ও মংগনের মধ্য়ে একাধিক জায়গায় ভূমিধসের কারণে আটকে পড়েন প্রায় ২০০০ পর্যটক।
#WATCH | One person dead, five missing and houses damaged due to heavy rain in Mangan, Sikkim
গত বুধবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় সিকিমে। একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চুংথাং ও লাচুং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসের জেরে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমের অবস্থা ভয়াবহ। প্রথম দিকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল আকাশপথে উদ্ধার করা হবে পর্যটকদের। কিন্তু দুর্যোগের মেঘ না কাটায় তাও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের সড়কপথেই উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার মংগন থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা পথে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছন হাজার জনের বেশি পর্যটক। এছাড়া উত্তর সিকিমের অন্যান্য জায়গা থেকেও প্রশাসন পর্যটকদের উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের জেরে সিকিমের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও। পাহাড় থেকে পাথরের চাঁই ধসে পড়েছে রাস্তায়। কোথাও আবার রাস্তাতেই ধস নেমেছে। এর জেরেই একাধিক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাজ্য প্রশাসনের তরফে পরিবহণ ব্যবস্থা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।