Taslima Nasrin
‘অসুস্থ মস্তিস্ক, বিকৃত সুখ’, ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়ানোয় তোপ কবি তসলিমা নাসরিনের
‘অসুস্থ মস্তিস্ক, বিকৃত সুখ’, ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়ানোয় তোপ কবি তসলিমা নাসরিনের
ভারতের মানমর্যাদার প্রতীককে পদতলে রেখে এহেন নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের নিন্দায় এবার সরব হলেন তসলিমা নাসরিন।
সোশাল মিডিয়ায় তসলিমা আরও লিখলেন, ” আমি বিশ্বের প্রতিটি পতাকাকে সম্মান করি, প্রতিটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে আমি উঠে দাঁড়াই। পাকিস্তান যে এত আমাদের শত্রু দেশ, আমি পাকিস্তানের পতাকাকেও পোড়াবো না, পায়ে মাড়াবো না। বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা ভারতের পতাকাকে পায়ে মাড়িয়ে যে সুখ পাচ্ছে, সে সুখ বিকৃত সুখ। যে মস্তিস্কে ঘৃণা থিকথিক করে, সে মস্তিস্ক অসুস্থ মস্তিস্ক। দুঃখ এই, বাংলাদেশ নামের দেশটি অসুস্থ অশিক্ষিত অপ্রকৃতিস্থ লোকের দেশ হয়ে উঠছে।”
জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হওয়া ছবি ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র (BEUT)। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মাটিতে রাখা হয়েছে ভারতের পতাকা। যার উপর দিয়ে নির্দ্ধিধায় হেঁটে চলেছে সেখানকার পড়ুয়ারা। সেই ছবি শেয়ার করে সৃজিতের প্রতিবাদ, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।’ দীর্ঘ পোস্টে নিন্দায় সরব জীতু কমলও। অভিনেতা লিখেছেন, ‘এ কী রূপ তোমার! কার সম্বন্ধে এতকাল শুনে এসেছি। কাকে নিয়ে ভেবেছি,আনন্দ পেয়েছি! ভাবতাম, আমার পাশেই আমার বাড়ি। যে দেশের সংস্কৃতি,খাদ্য ,বস্ত্র বিপনীর উপমা একসময় সারা বিশ্বব্যাপী বন্দিত হয়েছে, হচ্ছেও বোধ করি। যার জাতীয় সংগীত হাঁ করে শুনি। ক্রিকেট মাঠে নিজের দেশ কোন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে, পরবর্তীতে মন থেকে তোমাদের সাপোর্ট করে এসেছি। আর আজ কী রূপ তুমি দেখাচ্ছ!’ সেই পোস্টেই জীতুর সংযোজন, বিশ্বাস করো,আজও তোমায় ভালোবাসি। আজও তোমার শাপলা বন,কক্স সমুদ্রতট আমার মনকে মাতিয়ে তোলে। স্নেহ-ভালোবাসা আজও আছে তোমার প্রতি। বহু কু-কথা,অসম্মান চুপ করে সহ্য করি,নিজের ভাতৃত্ববোধের কথা ভেবে।তুমি তো আমাদেরই অঙ্গ। কিন্তু আজ কী করলে তুমি! এ পতাকা,এ দেশ তোমায় কোনদিন কোনো সাহায্য করেনি? কোনও দিন তোমার বিপদে পাশে দাঁড়াইনি? তোমার দেশের কোন শিল্পী, কোন সভ্যকে কোন দিন অসম্মান করেছে? ঈশ্বর বা আল্লাহ যাই মানো না কেন,কসম খেয়ে বলো দেখি।