বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে মনু নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার পর প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার শ্রীদাম মাহিষ্য দাস নামে এক যুবকের।
নিউজ সুবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, Published on: 8 Jun.বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে মনু নদীর জলে তলিয়ে যাওয়ার পর প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার শ্রীদাম মাহিষ্য দাস নামে এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটে রবিবার কৈলাসহরের জলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কৈলাসহর থানার অন্তর্গত জলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় নং ওয়ার্ডের অধীন বলেহর গ্রামের বাসিন্দা শ্রীদাম মাহিষ্য দাস। পেশায় সে দিনমজুর। দিনমজুরীর পাশাপাশি নদীতে মাছ ধরেই পরিবার পরিচালনা করত সে। শ্রীদামের বাড়ির পিছনে মনু নদী। নদীতে প্রায়ই বড়শি দিয়ে মাছ ধরত । শনিবার বিকেলে শ্রীদাম মনু নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজনেরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে শ্রীদামকে না পেয়ে রাতে কৈলাসহর থানায় ঘটনাটি জানায়। এরপর রবিবার দুপুরে পরিবারের লোকেরা মনু নদীর জলে নেমে খুঁজতে শুরু করলে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে ভয়ে জল থেকে উঠে পড়ে। পরবর্তী সময়ে নিখোঁজ যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কৈলাসহর থানায় খবর দেয়। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় ডেপুটি মেজিস্ট্রেট মতি রঞ্জন দেববর্মার নেতৃত্বে এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মনু নদীর জল থেকে শ্রীদামের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর জেলা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত করে পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হয়। এব্যাপারে ডেপুটি মেজিস্ট্রেট মতি রঞ্জন দেববর্মা জানান , মৃত শ্রীদাম মাহিষ্য দাস বিবাহিত। তার সাত বছরের ছেলে এবং দশ বছরের মেয়ে রয়েছে। খুবই হত দরিদ্র পরিবার। এই মৃত্যুর খবর চাউর হতেই গোটা গ্রামের মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।