অবশেষে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে পাশ হল এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব।
তা প্রায় সকলেরই জানা। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল নিয়ে বহু কাঠখড় পুরানো হয়েছে। এমনকি বিরোধীদের নানা প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে। তবু হার মানা হয় নি। অবশেষে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে পাশ হল এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, শীতকালীন অধিবেশনে না হলেও হয়তো পরবর্তী অধিবেশনে এই বহুচর্চিত বিলটি পেশ করা হতে পারে। তবে চলতি অধিবেশনেই সংসদে এক দেশ এক ভোট বিল পেশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর দিল্লির লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন করার আহ্বানও জানান নরেন্দ্র মোদী। মোদির সেই বার্তার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে এক দেশ, এক নির্বাচন রীতি। এরপর ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করে এসেছে।